SEO (এসইও) সম্পর্কে যত জিজ্ঞাসা!

hosting image
SEO 02

SEO (এসইও) সম্পর্কে যত জিজ্ঞাসা!

SEO 011

এসইও (SEO) কি?

এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”। আমরা যখন গুগল কিংবা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু লিখে সার্চ দিই, তখন গুগল কিংবা ঐ সার্চ ইঞ্জিন আমাদের কতগুলো রেজাল্ট দেখায়। সেখান থেকে আমরা আমাদের পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট ভিজিটের মাধ্যমে দরকারি তথ্য খুঁজে পাই। আর যেই কারণে গুগল কিংবা কোন সার্চ ইঞ্জিন ওই রেজাল্টগুলো দেখায় সেই কারণ কিংবা পদ্ধতিকে বলা হয় “সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন”।

এসইও হল সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বা ডোমেনের ইনকামিং ট্র্যাফিকের পরিমাণ এবং গুণমানকে অর্গানিকভাবে বৃদ্ধি করা। এসইও একটি কোম্পানির প্রচার ও প্রসার বাড়াতে সাহায্য করে। এই ধরনের অর্গানিক প্রচার গ্রাহকদের কাছে আর্থিক প্রচারের চেয়েও বেশি বিশ্বস্ত ও গুরুত্ববহ।

ধরুন, আপনার একটি অনলাইন শপের ওয়েবসাইট আছে, যেখানে আপনি “ল্যাপটপ” বিক্রি করেন। এখন আপনি চাচ্ছেন কেউ যদি গুগল সার্চে গিয়ে “ল্যাপটপ” লিখে সার্চ করে তাহলে সবার উপরে যেন আপনার ওয়েবসাইটটি কে দেখায়। কিন্তু প্রশ্ন হল গুগলে “ল্যাপটপ” লিখে সার্চ করার পর গুগল কেন আপনার ওয়েবসাইটটিকে দেখাবে? আসলে এর প্রধান কারণ হলো এসইও (SEO) । অনলাইন এ হাজার হাজার ওয়েবসাইট আছে কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইট কি টপিক নিয়ে কাজ করে গুগল তা বুঝবেনা, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইটকে টপ র‌্যাঙ্ক (Top Rank) করবেনা। এখন আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ল্যাপটপ নামক কীওর্য়াডটিকে এমনভাবে সেট করেন যে, প্রায় সকলেই সেই কীওর্য়াড দিকে সার্চ করছে, তাহলে স্বাভাবিকতই আপনার সাইটটি র‌্যাঙ্কে করবে এবং গুগল লিষ্টে প্রথমে চলে আসবে।

এক কথায় এসইও মানে হলো এমন একটি কৌশল বা প্রক্রিয়া যার দ্বারা আমরা নিজেদের ওয়েবসাইটের content বা article গুলো গুগল কিংবা বিং এর মতো search engine গুলোতে সবচেয়ে প্রথম সার্চ রেজাল্ট পেইজ ( প্রথম ১০টি সার্চ রেজাল্ট)  দেখতে বা  rank করাতে পারি। এতে, আপনি যথেষ্ট পরিমানে ফ্রি ভিসিটর বা ট্রাফিক এই সার্চ ইঞ্জিন গুলি থেকে পেতে থাকবেন।

সার্চ ইঞ্জিন কি?

সার্চ ইঞ্জিন হল ইন্টারনেটের একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা পণ্য, পরিষেবা বা কোনো তথ্য খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহার করি। সাধারণত ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় অনুসন্ধান ইঞ্জিন হল গুগল এবং বিং।

SEO বলতে আপনি কি বুঝেন? বর্তমান পরিস্থিতিতে এসইও গুরুত্বপূর্ণ কেন?

এটি মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান এর সু-সংজ্ঞায়িত সিরিজ সেট যেখানে একটি ওয়েবসাইট, একটি ব্লগ বা একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে সার্চের ফলাফলের উপরে নির্ভর করে র‍্যাঙ্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা করা হয়। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানো এবং গ্রাহকদের মাঝে ওয়েবসাইটিকে জনপ্রিয় করে তোলা। বর্তমান সময়ে সফল ব্যবসা পরিচালনা এবং ব্যবসাকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে বৃদ্ধি করতে এসইও কে সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির উন্নতির ফলে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। যেকোনো ব্যবসায় পণ্য/পরিষেবা প্রচার এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের চেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম আর নেই। তাই এসইও-তে জড়িত থাকা যেকোনো ব্যবসার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তৈরি করতে পারে এবং তাদের বিপণন এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা প্রচারে পছন্দের ফলাফল অর্জনে সহায়তা করতে পারে। একই সময়ে, এটি গ্রাহকদের সাথে ব্যবসায়ীর সম্পর্ক উন্নত করতে পারে।

এসইও (SEO) কেন করবেন? কিভাবে SEO সহজভাবে করা হয়?

যদি এককথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেই। তাহলে উত্তর হবে, আপনার ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর ও ট্র্যাফিক নিয়ে আসার জন্য এসইও করতে হবে। কারন একটি ওয়েবসাইট এর প্রান হলো ভিজিটর৷

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মূললক্ষ্য হল ওয়েবসাইটের সামগ্রিক র‌্যাঙ্ক বাড়ানো। এখানে ওয়েবসাইট সম্পর্কে প্রথমে সবকিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়, এরপর এর ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং লোডিং টাইম এর মত প্যারামিটারগুলি উন্নত করা হয়। একই সময়ে, প্রয়োজনীয় সামগ্রী যা অনলাইন ব্যবহারকারীদের ব্যবসা বা ওয়েবসাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইট/ব্লগ বা তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। সার্চ ইঞ্জিনগুলি সুক্ষ্ণভাবে এই সমস্ত প্যারামিটারগুলি নিরীক্ষণ করে এবং যদি সেগুলি তাদের যথাযথ বিন্যাস এবং নির্দেশিকা অনুসারে হয় তবেই ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্ক বৃদ্ধি করে৷

এসইও এর জন্য করণীয় কি?

নিজের ব্লগে on page seo র প্রয়োগ করার অনেক গুলি নিয়ম আছে। নিচে আমরা সবচেয়ে দরকারি এবং প্রয়োজনীয় on page seo র ব্যাপারে জানবো যেগুলি ব্যবহার করে আপনি নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভালোভাবে on page search engine optimization করতে পারবেন।

Website loading speed

একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য তার loading speed অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়।কারণ, আমি বা আপনি যেই না হোক কেন, আমরা এমন একটি ব্লগ যেটার নাকি লোডিং স্পিড অনেক স্লো বা যে ওয়েবসাইট খুলতে অনেক সময় নেয় সেসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করিনা।

একটি অনলাইন survey থেকে পাওয়া গেছে যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ ২ থেকে ৪ সেকেন্ড (second) এর মধ্যে খোলাটা লাভজনক। এতে আপনার ওয়েবসাইট জলদি খোলে এবং ভিসিটর্স বা দর্শক আপনার ব্লগে যেই আর্টিকেল পড়তে এসেছেন সেটা জলদি দেখতে বা পড়তে পারেন।

কিন্তু, যদি আপনার ওয়েবসাইট ২ থেকে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে না খোলে এবং অধিক সময় নিয়ে loading হতে থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট অনেকটাই slow এবং এতে আপনার ব্লগে ভিসিট করা ভিসিটর্স রাগ হয়ে আপনার ব্লগ থেকে চলে যান। আর, এইযে ভিসিটর্স রা এসে কিছু না পড়ে জলদি আপনার ব্লগ থেকে চলে যায় এতে Google search বা অন্য search engine এর কাছে আপনার ব্লগের খারাপ ছবি তৈরী হয়।

Title Tag এর ব্যবহার

মনে রাখবেন আপনার লেখা আর্টিকেলের সবচেয়ে জরুরি অংশ হলো আর্টিকেলের টাইটেল (title). যখন আপনি একটি ভালো title ব্যবহার করবেন তখন যেকোনো search engine থেকে ভিসিটর্স আপনার লেখা আর্টিকেলের প্রতি আকর্ষিত হবেন। তাই, আপনি এমন title লিখুন যেটা সহজে বুঝা যায় বা যেটা পরেই পুরো আর্টিকেলের বিষয়টি বোঝা সম্ভব। এতে, Google search result থেকে হোক বা social media থেকে, আপনার ব্লগের সেই লিংকে সবাই ক্লিক করবে। যদি Google search result থেকে বেশিভাগ লোকেরা আপনার ব্লগের লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনার ব্লগের CTR (Click through rate) ভালো হয়।

ব্লগ পোস্টে URL লিংক এর ব্যবহার

আর্টিকেল লিখার সময় সবচেয়ে আগে মনে রাখবেন নিজের ব্লগ পোস্টের URL link সেট করে নিতে। আপনি যদি blogger  বা WordPress ব্যবহার করে ব্লগ লিখেন, প্রথমেই আপনি নিজের লিখা আর্টিকেলের URL address সেট করে নিতে পারবেন। আর অবশ্যই মনে করে ব্লগের আর্টিকেলের URL address এ সবসময় “keyword” ব্যবহার করবেন। এর বাইরে, URL address ছোট রাখার বিষয়টিও মনে রাখবেন।

Internal linking অবশ্যই করবেন

Internal linking মানে হলো, নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখার সময় লেখা আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে রিলেটেড অন্য আর্টিকেলের লিংক গুলো আর্টিকেলে যোগ করা। উদাহরণ হিসাবে, যদি আমি আর্টিকেল লিখছি, “ব্লগ কি এবং ব্লগ থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন“, তাহলে আমি আমার আর্টিকেলটিতে “ব্লগ” বা “টাকা আয়” নিয়ে লিখা অন্যান্য আগের আর্টিকেল গুলোর লিংক যোগ করতে হবে।কারণ, বর্তমান আমি যেই আর্টিকেলটি লিখছি সেটা ব্লগ এবং টাকা আয়ের ওপরে। আর তাই, যদি আমি ব্লগ বা টাকা আয়ের বিষয়ে অন্য আর্টিকেল এর লিংক বর্তমান লেখা আর্টিকেলে দেই তাহলে সেগুলি আমার লেখা আর্টিকেলের সাথে সম্পর্কিত টপিক।এবং এই প্রক্রিয়াটি হলো internal linking.

ALT tag এর ব্যবহার

নিজের ব্লগে লেখা আর্টিকেলে আপনারা অবশ্যই একটি হলেও ছবি (image) ব্যবহার করবেন। আর, যখনই ব্লগে ছবি আপলোড করবেন ছবিতে “Alt tag” ব্যবহার করবেন। Alt tag থাকলে Google এবং অন্য search engine গুলো আপনার আপলোড করা ছবির বিষয়টি বুঝতে পারেন। তাই alt tag অবশই ব্যবহার করবেন এবং alt tag এর মধ্যে targeted keyword এর ব্যবহার রাখবেন।

কীওয়ার্ড (keyword) এর ব্যবহার

Keywords সেই শব্দ (words) গুলিকে বলা হয় যেগুলির ওপরে বিশেষ করে আমরা আর্টিকেল লিখছি।তাই, অবশই মনে রাখবেন,যখন আপনি আর্টিকেল লিখছেন তখন নিজের content এর কিছু কিছু অংশতে keywords ব্যবহার করবেন।তাছাড়া, content এর heading, প্রথম paragraph, শেষ paragraph, আর্টিকেলের Title, URL address এবং Image ALT tag এ Keywords ব্যবহার করবেন। Keyword এর অধিক ব্যবহার কিন্তু আপনার ব্লগ কে গুগল সার্চ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বহিস্কার করে দিতে পারে।তাই, content এ keyword ততটুকুন ব্যবহার করবেন যতটুকু জরুরি।Keywords গুলো নিজের আর্টিকেলে মধ্যে অনেক স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করবেন।এতে আপনার ভিসিটর্স এবং Google দুজনেই বুঝতে পারবেন যে আপনার লেখা আর্টিকেল কিসের উপরে।

Content এবং keywords এর সঠিক ব্যবহার seo বা search engine optimization এর জন্য অনেক জরুরি।

এসইও কত প্রকার ও কি কি?

SEO সাধারণত দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে করা হয়-

অন-পেজ SEO: অনপেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভিতরের কাজ অথাৎ ওয়েবসাইটের ভেতরে যে কাজগুলো করলে ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের উপরে আনা সম্ভব হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোন একটা কীওর্য়াড কে সিলেক্ট করে সে আলোকে একটি আর্টিকেল লিখে সেই আর্টিকেলটিতেই কীওর্য়াড এর বিভিন্ন বিষয় প্রয়োগ করে আমরা এটি প্রস্তুত করতে পারি। অনপেজ এসইওতে কীওর্য়াড ব্যবহৃত হয় ইউআরএলে, টাইটেলে, হেডার-০১ এ, সাব হেডিং এ, বডি কন্টেন্টে, ইন্টারনাল লিংকে, মেটা টাইটেলে, মেটা ডেস্ক্রিপশনে। এই অপটিমাইজেশনগুলো আপনি যত দক্ষতার সাথে করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে তত ভাল র‌্যাঙ্ক পাবে।

On Page SEO হলো এরকম এমন কিছু SEO techniques বা প্রক্রিয়া যেগুলি নিজের ব্লগের মধ্যে বা ব্লগে লেখা আর্টিকেলে ব্যবহার করে আমরা গুগল সার্চ বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে ফ্রি ট্রাফিক বা ভিসিটর্স আকর্ষণ করতে পারি। এছাড়া, সার্চ ইঞ্জিন গুলির থেকে ট্রাফিক (traffic) পাওয়ার জন্য নিজের ব্লগের আর্টিকেল গুলোকে optimize করার জন্যে যেই SEO techniques গুলি কে ব্যবহার করা হয়।

অফ-পেজ SEO: অফ পেজ এসইও এমন এক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান প্রক্রিয়া, যেটা আমরা আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ভেতরে করতে পারিনা। অফ-পেজ এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সেইসব প্রয়োগ, যেগুলো সাইটের বাইরে করা হয়। যেমন, সোশ্যাল শেয়ার, লিংক বিল্ডি, সাইট বিল্ডি ইত্যাদিতে। এছাড়া ফাউন্ডেশন লিংক বিল্ডিং যেমন প্রোফাইল তৈরি, ডিরেক্টরি সাবমিশন, ফোরাম ব্যাকলিংক বিল্ডিং ইত্যাদি।

ওয়েব ট্র্যাফিক কি?

ইন্টারনেটের প্রতিটি ওয়েবসাইটের নিয়মিত ব্যবহারকারীর গড় সংখ্যা রয়েছে। এটি ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক হিসাবে বিবেচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি ১০০০ জন লোক প্রতিদিন একটি ওয়েবসাইট পরিদর্শন করে, তবে এটি ঐ ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক হিসাবে বিবেচিত। একটি সফল ব্যবসা বা ওয়েবসাইটের জন্য নিয়মিত ভালো ট্র্যাফিক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।

ওয়েব অপটিমাইজেশনের সাথে যুক্ত প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি কী কী?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মূল কারণ হল মার্কেটে শীর্ষস্থান ধরে রাখার প্রতিযোগিতা। ব্যবসার প্রসার ও পণ্যের অধিক বিক্রির লক্ষ্যে একই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করা প্রত্যেক ওয়েবসাইট মালিকেরই মূল লক্ষ্য থাকে, অনলাইনে যেন তার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটটি বা পণ্যগুলো সবার প্রথমে থাকে এবং ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। অন্য দিক বিবেচনায়, এসইও শুধুমাত্র একটি অনুসঙ্গের উপর নির্ভর করে না, এর জন্য বেশ কিছু বিষয় গুরুত্বের সাথে দেখতে হয়, যেমন- কনটেন্ট, ডিজাইন, ফিচার এবং সব ধরনের তথ্যই যেন এ্সইও এর সাথে খাপ খায়। অন্য আরোকটি চ্যালেঞ্জ হল সম ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতার বিষয়টি, তাই আপনার লক্ষ্য পুরণের জন্য একজন এসইও এক্সপার্টের সহযোগিতা নিয়ে এটাকে আরও সহজ ও সাবলীলভাবে করা সম্ভব।

সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম কি?

ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্ক নির্ধারণ করতে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনের নিজস্ব অ্যালগরিদম রয়েছে। এটা সত্য যে ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে এখনও গুগলের সঠিক কার্যকারিতা উন্মোচন করা যায়নি, তবে ওয়েব মালিকদের ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা করার সময় তাদের কী যত্ন নেওয়া দরকার সে সম্পর্কে বেশকিছু নির্দেশিকা রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণত অনন্য বিষয়বস্তু পোস্ট করা, ডেডিকেটেড ডিজাইন থাকা এবং অন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য কোনো প্যারামিটার কপি না করে সেগুলোকে ইউনিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা। সবকিছু সুপারিশ অনুযায়ী হলে, এই ধরনের প্যারামিটার তাদের পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্ক উন্নতির প্রধাণ সহায়ক বলে বিবেচিত হয়।

এসইও করা যায় এমন বিভিন্ন উপায়ের নাম বলুন।

  • একটি PPC (Pay per click) অ্যাকাউন্ট খোলা
  • বিষয়বস্তু/ব্লগ পোস্টিং
  • ওয়েবসাইটে একটি সাইটম্যাপ পৃষ্ঠা যুক্ত করা
  • ওয়েবসাইটে সহজ কিন্তু শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য যোগ করা
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করা
  • বিষয়বস্তুতে একাধিক কীওয়ার্ড সংযুক্ত করা
  • বাহ্যিক সাইটগুলির সাথে লিঙ্ক সংযুক্ত করা

ক্রস লিঙ্কিং কি?

এসইওতে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা দুটি ওয়েবসাইট একে অপরের সাথে লিঙ্ক করে ট্রাফিক ডাইভারশন করা সম্ভব। এভাবে সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াটিকে সাধারণত ক্রসলিংকিং হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যাইহোক, এটি একই ব্যক্তির উভয় ওয়েবসাইটের মধ্যে সম্ভব নয় বরং এটি দুটি ভিন্ন ওয়েব মালিকদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে হয়ে থাকে।

কিভাবে ট্রাফিক এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে ডাইভার্ট করা যায়? কোন ব্যবসার ট্রাফিক ডাইভারশনের জন্য বিজ্ঞাপন পোস্ট করার সেরা প্ল্যাটফর্ম কি?

ট্রাফিক ডাইভার্ট এর জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এখানে বিজ্ঞাপন প্রচারণা রয়েছে যেমন PPC অর্থাৎ ক্লিক প্রতি অর্থ প্রদান এবং জনপ্রিয় অন্যান্য ওয়েবসাইটের ব্যানার বিজ্ঞাপন ব্যবহার। যখন সেই ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীরা বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করেন, তখন সহজভাবে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে অবতরণ করা যেতে পারে। সম্ভবত এই পদ্ধতিটি ওয়েবসাইটের সার্চ বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও এই উদ্দেশ্যে ব্যাক-লিঙ্ক তৈরি করা যেতে পারে কারণ এটি একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। দুটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সহযোগিতায় সহজেই ট্রাফিককে এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে সরিয়ে দিতে পারে।

ট্রাফিক ডাইভারশন বিবেচনার জন্য ফেসবুক একটি ভাল বিকল্প। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারকারী রয়েছে, যারা প্রতিদিন তাদের অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করে। ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের পোস্টপেইড বিজ্ঞাপন দেওয়ার অনুমতি দেয় এবং এই বিষয়ে গতি বজায় রাখতে সহায়তা করে বলে একই ধরনের আগ্রহের লোকদের লক্ষ্য করা যেতে পারে।

এসইওর পদ্ধতিতে সাধারণ ত্রুটিগুলি কী হতে পারে?

  • পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে ব্যবহারকারীদের অবতরণ করা হয়
  • জটিল ডিজাইন
  • অতিরিক্ত লোডিং ডিজাইন
  • অনাকাঙ্ক্ষিত টার্গেট করা
  • বিজ্ঞাপনের জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন না করা

কনটেন্ট হল SEO এর রাজা, এই বিবৃতি দ্বারা আপনি কি বোঝাতে চান? আপনি কি এটার সাথে একমত?

এসইও অনেক কারণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপায়ে করা হয়। তবে বিষয়বস্তু পোস্ট করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা প্রায় সম্ভব নয়। অন্য কথায়, পরিষেবা বা পণ্য সম্পর্কে ঘন ঘন কন্টেন্ট পোস্ট করা বাধ্যতামূলক কারণ শুধুমাত্র বিষয়বস্তু যেকোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগে ৭০% এর বেশি ট্রাফিক অর্জন করে। এই কারণেই পৌরাণিক কাহিনী অর্থাৎ “কন্টেন্ট ইজ কিং ইন এসইও” খুব জনপ্রিয় এবং বক্তব্যটি অনেকাংশে সত্য।

ব্যবসার মালিকদের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশানের প্রকৃত সুবিধাগুলি কী কী?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যে কোনো ওয়েব-ভিত্তিক বা অন্য ব্যবসার মালিকের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এটি যেকোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর সেরা উপায়। প্রধান কিছু সুবিধা নিচে দেওয়া হল-

  • ওয়েবসাইট/ব্লগকে আরও জনপ্রিয় করা যেতে পারে
  • ব্যবসায়িক লেনদেন সহজভাবে উন্নত করা যেতে পারে এবং এইভাবে আরও বেশি লাভ হবে
  • SEO এর মাধ্যমে ব্যবসায় নতুন ক্লায়েন্ট যুক্ত করা যেতে পারে
  • SEO এর স্থিতিশীলতার জন্য পরিচিত পন্থা

অনলাইন দৃশ্যমানতা শব্দটি দ্বারা আপনি কী বোঝেন? এসইও কি একটি অর্থপ্রদত্ত প্রচার মাধ্যম নাকি বিনামূল্যে?

ওয়েব ব্যবহারকারীরা একটি ওয়েবসাইটের সাথে কতটা পরিচিত তা বুঝতে পারাই অনলাইন দৃশ্যমানতা। যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন পক্ষপাত ছাড়া বিনামূল্যে ফলাফল অফার করে। তবে, একটি ওয়েব সাইটকে ভালো র‌্যাঙ্কে নিতে ওয়েবসাইট বুষ্ট করা ও স্পেশালিষ্টদের সাহায্য নেওয়ার জন্য অথবা বিজ্ঞাপনভুক্ত করার জন্য ওয়েব মালিককে কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়।

কেন একটি মোবাইল-বান্ধব ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন?

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তাই একটি ওয়েবসাইট মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি ওয়েবসাইটটি মোবাইলে এক্সেসএবল না হয়, তাহলে লোকজন ওয়েবসাইটি ব্যবহারের প্রতি কোন আগ্রহ দেখাবে না এবং এটি একটি বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবে।

একজন ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে কী কী ধরণের অনুসন্ধান করতে পারে?

এটি নির্ভর করে একজন ব্যবহারকারী ঠিক কী খুঁজছেন তার উপর। বিভিন্ন ধরণের অনুসন্ধান হতে পারে, যেমন-

  • একাডেমিক সার্চ
  • অডিও, ভিডিও সার্চ
  • ছবি বা চিত্র সার্চ
  • বিষয়বস্তু সার্চ
  • পণ্য সার্চ

এসইও কৌশল কি? একটি ওয়েব অপ্টিমাইজ করছেন, অনুকূল ফলাফল পেতে প্রচেষ্টা কি হবে?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন প্রকৃত অর্থে একটি জটিল বিষয়। এটি সাধারণত বিভিন্ন সিরিজ মডিউলের সঙ্গে সংযুক্ত এবং প্রতিটি মডিউলকে একটি এসইও কৌশল হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ওয়েব অপ্টিমাইজ হতে অনুকূল ফলাফল পেতে প্রথমত বিষয়বস্তুর গুণমান পরীক্ষা করতে এবং তার সম্ভাব্য সমস্ত সম্পাদনা করতে হবে। ওয়েব র‍্যাঙ্কিংয়ের জন্য আগত বাধাগুলি পরীক্ষা চেক করা এবং একের পর এক সেগুলি দূর করা গুরুত্বপূর্ণ। সার্চ ইঞ্জিনের আচরণ বুঝতে হবে এবং ভালো ডিজাইনের প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং উন্নয়ন ত্রুটির দিকে নজর দিতে হবে এবং সবশেষে ব্যাকলিংক এর জন্য ওয়েবসাইটের বুষ্ট প্রমোট করতে হবে।

ক্রলিং কি?

এসইও-এর সফল প্রচেষ্টার পরে দেখা যায় যে অবাঞ্ছিত বিষয়বস্তু প্রায়শই অনুসন্ধান সূচীতে তার উপস্থিতি ঘোষণা করে। এই এড়ানোর প্রক্রিয়াটিকে সাধারণত ক্রলিং হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের পন্থা ও পদ্ধতির অংশ।

কীওয়ার্ড কি? এর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করুন? কীওয়ার্ড স্টেমিং কি?

কীওয়ার্ড হল একটি ফেজ বা একটি অনুসন্ধান শব্দ, যা সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা ইন্টারনেট থেকে ডেটা আনার জন্য ব্যবহৃত হয়। সার্চ ইঞ্জিন তার ডাটাবেসে ব্যবহার করে সার্চ টার্ম সংরক্ষণ করে, এবং যখন ব্যবহারকারীরা সেই ক্যোয়ারী সার্চ করে, প্রাসঙ্গিক মিলটি পূরণ করে এবং ফলাফল প্রদর্শন করে।

বিষয়বস্তু পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে কীওয়ার্ডগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা এসইও এর শক্তিশালী পদ্ধতি। বিষয়বস্তুতে, ব্যবসা রিলেটেড কী ওয়ার্ড পছন্দ করা নির্ভর করে পাবলিকের ইন্টারেষ্ট বা তৎসংলঙ্গ বিষয়বস্তুর উপর। বিদ্যমানগুলি সম্পর্কিত নতুন কীওয়ার্ডগুলি সংজ্ঞায়িত করার প্রক্রিয়াটিকে সাধারণত কীওয়ার্ড স্টেমিং হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

কীওয়ার্ড ঘনত্ব (Keyword Density) কি?

বিষয়বস্তু পোস্ট করার সময়, আপনি বিষয়বস্তুর মূল অংশে কতবার কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন তার উপর গুগল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলি দ্বারা একটি কঠোর উচ্চ সীমা রয়েছে৷ এই মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে, ওয়েবসাইটটিকে নিষেধাজ্ঞা বা শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে। তাই এটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং মোট শব্দের ১% কীওয়ার্ড ঘনত্বের সাধারণ সীমা নির্ধারন করা উচিত।

HTML-এ ফ্রেমগুলি ঠিক কী? কিভাবে তারা এসইও এর কাজে লাগে?

এটি একটি পদ্ধতি যা ওয়েবপৃষ্ঠার বিষয়বস্তুকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করে, যাতে প্রাসঙ্গিক অনুসন্ধান করা হলে তা সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শিত হতে পারে। এটি বর্তমান সময়ে এসইও-তে অত্যন্ত সহায়ক পদ্ধতির একটি। অনেক ওয়েব মালিক এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।

এসইও টুলস কিসের জন্য ব্যবহার করা হয়?

প্রধান এসইও টুল হল গুগল অ্যানালিটিক্স, কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস, অ্যালেক্সা, মোজ ওপেন সাইট এক্সপ্লোরার, গুগল ওয়েব কনসোল, সেম রাশ, কপিস্কেপ ইত্যাদি।

ব্যাকলিংক কি?

আপনার সাইট বা ওয়েবপৃষ্ঠার রেফারিং বা অন্তর্মুখী লিঙ্ক।

আউটবাউন্ড লিঙ্ক কি?

আপনার ওয়েবসাইট থেকে অন্যান্য ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইটের বাহ্যিক লিঙ্ক।

গুগলবট কি?

Googlebot হল একটি অ্যালগরিদম যা ওয়েবপৃষ্ঠাগুলিকে ক্রল/সূচী করে।

ব্ল্যাক-হ্যাট এসইও কৌশল কি?

  • লিঙ্ক ফার্মিং
  • ক্লোকিং
  • ডোরওয়ে পেজ
  • কীওয়ার্ড স্টাফিং

এসইওতে জনপ্রিয় তিনটি WEO (Web Engine Optimization) টুলের নাম কি?

কীওয়ার্ড প্ল্যানার, গুগল ওয়েবমাস্টার, গুগল অ্যানালিটিক্স।

ওয়েবমাস্টার সার্চ কনসোল কি?

গুগলে আপনার ওয়েবসাইট, ক্রল ত্রুটি, ওয়েবসাইট সমস্যা, পেনাল্টি নোটিফিকেশন, স্ট্রাকচার্ড ডেটা, সার্চ কোয়েরি, ইনডেক্সিং ডেটা, এবং CRT ইত্যাদির জন্য ব্যাকলিঙ্ক প্রদান করতে ওয়েবমাস্টার টুল ব্যবহৃত হয়।

robots.txt কি?

সার্চ ইঞ্জিন বট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমান্ড সহ একটি পাঠ্য ফাইল, যেমন ওয়েবপেজের সূচীকরণ এবং ক্যাশিং, একটি ওয়েবসাইট বা ডিরেক্টরির ফাইল, ডোমেন।

কিছু এসইও ব্লগের নাম দিন যা আপনি প্রায়শই পড়েন?

  • সার্চ ইঞ্জিন ল্যান্ড ব্লগ
  • গুগল ব্লগ
  • এমওজেড
  • সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল

এসইও এর মেটাট্যাগ বিষয়ে ব্যাখ্যা করুন।

  • মেটা ডেসক্রিপশান- ১৫৬ ক্যারেক্টার লিমিট
  • মেটা কীওয়ার্ডস- ১৫৬ ক্যারেক্টার লিমিট
  • মেটা রোবট- বোটস নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রয়োজনীয়

টাইটেল (হেডলাইন) ট্যাগের ক্যারেক্টার লিমিট কত?

এটি পিক্সেল দিয়ে সংজ্ঞায়িত করে, তার উপর ভিত্তি করে শিরোনাম ট্যাগে ৬০-৭০ অক্ষর হবে।

‘নো ফলো’ ও ‘ডু ফলো’ লিঙ্ক এর পার্থক্য?

এসইও-তে নো-ফলো করা লিঙ্কগুলি সার্চ ইঞ্জিন বট দ্বারা পাস হয় না এবং তাই ক্যাশ বা সূচীকরণ করা যায় না। একটি ডু-ফলো লিঙ্ক হল এক ধরনের হাইপারলিঙ্ক যা সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনের মধ্য দিয়ে যায় এবং এটি পেজ র‍্যাঙ্কে প্রভাব ফেলে।

এসইও এর সাম্প্রতিক আপডেট টুলস কি?

Panda, Penguin, 3Mecabbes, Pigeon

এসইও শেখা কেন জরুরী?

এটি একটি জটিল প্রশ্ন। আসলে আপনি কেন এসইও শিখবেন সেটা কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন তাহলে আপনার এসইও শেখার কারণ হতে পারে, আপনার ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্যে।

আবার আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলেও আপনার জন্যে এসইও শেখাটা খুব জরুরী। কারণ এসইও শেখা ছাড়া আপনি কোনভাবেই ক্লায়েন্টদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা সঠিকভাবে দিতে পারবেন না।

তবে এসইও বিষয়টি আসলে খুবই সহজ, আপনি যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা দিয়ে অন্য কোন ব্যক্তির ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্ক করাতে চান তাহলে আপনাকে আগে এসইও শিখতে হবে এবং সেটা খুবই ভাল করেই শিখতে হবে। তা না হলে আপনি কোনভাবেই আপনার কাস্টমারকে ভাল সেবা প্রদান করতে পারবেন না। কেননা কাস্টমার সব সময়ই চাইবেন তার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র‌্যাঙ্ক করুক আর তার ওয়েবসাইটে অনেক অনেক ট্রাফিক আসুক। কারণ, ভিজিটর যত বেশি হবে, পরিচিতি আর প্রসারও তত বেশি হবে। আর এই প্রসারের মাধ্যমে তার পণ্যের বিক্রিও অনেক বেড়ে যাবে। আর পণ্যের বেশি বিক্রি মানেই হচ্ছে বেশি মুনাফা অর্জন করা।