Latest technology that is changing the whole world

hosting image
Latest technology that is changing the whole world

সর্বশেষ প্রযুক্তি যা বদলে দিচ্ছে পুরো দুনিয়াকে

Latest technology that is changing the whole world
Latest technology that is changing the whole world

আমাদের এখনকার জীবন এমন হয়ে পড়েছে যে, চোখ খুললেই আমাদের চোখে ধরা দিচ্ছে প্রযুক্তির সামগ্রিক উৎকর্ষতা। যা বিশ্বের আমূল পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে ভুমিকা রেখে চলছে এবং প্রত্যেকের জীবনকে  আরও সহজতর, আরও উন্নত করার জন্য নতুনত্বে উদ্ভূত হচ্ছে। আর বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির দুনিয়া খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ।

পরিসংখ্যান মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। এটি মাথায় রেখে, আমরা শীর্ষস্থানীয় নতুন প্রযুক্তির একটি তালিকা তৈরি করেছি যা আপনাদের কে নিকটবর্তী প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা দিবেন।

এখানে ২০২৩ সালের কয়েকটি শীর্ষ প্রযুক্তির তালিকা আছে:

১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যাত্রিক শিক্ষা
২) ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অনলাইন মূদ্রা
৩) ব্লকচেইন
৪) ইডেজ কম্পিউটিং
৫) কোয়ান্টাম কম্পিউটিং
৬) ফাইভ জি
৭) সাইবার নিরাপত্তা
৮) অপার্থিব বা বর্ধিত বাস্তবতা

১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যান্ত্রিক শিক্ষা (Artificial Intelligence ‍and Machine Learning)

Artificial Intelligence and Machine Learning
চিত্রঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও যান্ত্রিক শিক্ষা  (Artificial Intelligence ‍and Machine Learning)

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial intelligence হল কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা, যার লক্ষ্য হল Intelligent Machines তৈরি করা। এটি এমন ধরনের কাজগুলি সম্পাদন করতে সক্ষম, যেগুলি সম্পাদন করতে সাধারণত মানুষের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়। যেমন শেখা, সমস্যা সমাধান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং উপলব্ধি। AI একটি মেশিনে প্রচুর পরিমাণে ডেটা বিশ্লেষণ করে সেই ডেটার মধ্যে প্যাটার্ন এবং সম্পর্ক সনাক্ত করে একটি কাজ সম্পাদন করতে পারে।

 আজকের সবচেয়ে জনপ্রিয় AI অ্যাপ্লিকেশন হল Image and speech recognition (ছবি বা শব্দ বুঝতে পারা), Navigation apps (নাব্য পথের এপস), Smartphone personal assistants (স্মার্টফোন ব্যক্তিগত সহকারী), এবং আরও অনেক কিছু। AI এর আরেকটি উদাহরণ হল ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP), যেখানে মেশিনগুলি মানুষের ভাষা বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে সক্ষম করে। এই প্রযুক্তিটি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে চ্যাটবট, ভার্চুয়াল এ্যাসিসটেন্স এবং ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।

২) ভার্চূয়াল মূদ্রা (Cryptocurrency)

Cryptocurrency
চিত্রঃ ভার্চূয়াল মূদ্রা (Cryptocurrency)

Cryptocurrency এই নামটা হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন আবার হয়তো অনেকেই শোনেন নি। Cryptocurrency হলো এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা চোখে দেখা যায়না এবং ছোঁয়াও যায়না এবং যেটি ডিজিটাল ওয়ালেট এ সেভ থাকে আর অনলাইন ট্রানজেকশনে ব্যবহৃত হয়। আপনার কাছে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থাকে, তাহলে পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকে অনলাইন মাধ্যমে এই মূদ্রার মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। তাই বলা যায়, ভার্চূয়াল মূদ্রা হল বৈশ্বিক মুদ্রা বা global currency।

৩) ব্লকচেইন (Blockchain)

Blockchain
চিত্রঃ ব্লকচেইন (Blockchain)

ব্লকচেইন টেকনোলজি বর্তমানে প্রচুর প্রভাব বিস্তার করছে এবং এই blockchain technology ভবিষ্যত প্রযুক্তির আমূল পরিবর্তন করে দিতে চলেছে। ব্লকচেইন টেকনোলজির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো এর উন্নত সিকিউরিটি। এর ডাটা পরিবর্তন বা hack করা প্রায় অসম্ভব, যার জন্য ব্লকচেইন এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে। এছাড়া ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির মধ্যস্থতা ছাড়া যেকোন ট্রানজেকশন নিরাপদে করা যাচ্ছে, এতে মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে।

Blockchain কতগুলো ব্লকের সমষ্টি যেখানে ব্লক গুলো একে অপরের সঙ্গে চেইন আকারে বাঁধা থাকে। এখানে প্রতিটি আলাদা আলাদা ব্লকে ডাটা জমা থাকে। সিকিউরিটির জন্য প্রত্যেকটি ব্লকে একটি ইউনিক নাম্বার থাকে, যা hash নামে পরিচিত এবং প্রত্যেকটি ব্লকে তার আগের ব্লকের hash ইনফরমেশন থাকে।

৪) এজ কম্পিউটিং (Edge Computing)

Edge Computing
চিত্রঃ এজ কম্পিউটিং (Edge Computing)

Edge Computing হল একটি উদীয়মান কম্পিউটিং সিস্টেম, যা ব্যবহারকারীর কাছে বা কাছাকাছি নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসগুলির একটি পরিসরকে বোঝায় । এটি একটি decentralized কম্পিউটিং অবকাঠামো যা কম্পিউটিং শক্তিকে যেখানে প্রয়োজন তার কাছাকাছি নিয়ে আসে। রিয়েল-টাইম ডেটা প্রসেসিং এবং বিশ্লেষণের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এই প্রযুক্তিটি ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এজ কম্পিউটিং লেটেন্সি কমাতে, নিরাপত্তা উন্নত করতে, নতুন অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবা প্রদান করতে সাহায্য করে থাকে।

৫) কোয়ান্টাম কম্পিউটিং (Quantum Computing)

Quantum Computing
চিত্রঃ কোয়ান্টাম কম্পিউটিং (Quantum Computing)

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং হল এক ধরনের কম্পিউটিং সিস্টেম, যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের শক্তি ব্যবহার করে অত্যন্ত জটিল গণনা সম্পাদন করতে পারে, যেটা ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারের পক্ষে সমাধান করা কঠিন বা অসম্ভব। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং একটি দ্রুত বিকশিত ক্ষেত্র- যা অর্থ, স্বাস্থ্যসেবা এবং লজিস্টিক সহ অনেক শিল্পের দুর্দান্ত অগ্রগতি সাধন করে।
ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিং-এ, বিট ব্যবহার করে ডেটা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করা হয়, যা 0 বা 1 অবস্থায় হতে পারে। বিপরীতে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কিউবিট ব্যবহার করে, যা একই সাথে উভয় অবস্থায় থাকতে পারে। এর মানে হল- কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলি একই সাথে অনেকগুলি গণনা সম্পাদন করতে পারে, যা নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যার জন্য ক্লাসিক্যাল কম্পিউটিংয়ের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য গতির দিকে পরিচালিত করে।

৬) ফাইভ জি (5G)

5G
চিত্রঃ ফাইভ জি (5G)

5G হল সর্বশেষ এবং পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস প্রযুক্তি, যা আমরা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করি এবং ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করি। দ্রুত গতি, কম লেটেন্সি এবং বৃহত্তর ক্ষমতা সহ 5G ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, এবং স্মার্ট প্রযুক্তিসহ নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরী এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
5G পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে দ্রুত ডেটা গতির অফার করে, যার সর্বোচ্চ গতি 20 Gbps পর্যন্ত। এর মানে হল বড় ফাইল ডাউনলোড করা, হাই-ডেফিনিশন ভিডিও স্ট্রিম করা এবং ডেটা-ইনটেনসিভ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা 5G নেটওয়ার্কে অনেক দ্রুত এবং মসৃণ হবে।
যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবু সেই চ্যালেঞ্জ গুলো উপেক্ষা করে এটি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবহন সহ অন্যান্য শিল্পের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেহেতু 5G নেটওয়ার্কগুলি বিশ্বজুড়ে সংযুক্তি অব্যাহত রয়েছে, তাই আমরা আশা করতে পারি যে, নতুন অ্যাপ্লিকেশন এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি এমনও গুরুত্ব রাখতে পারে, যা আমরা আজ কল্পনাও করতে পারি না।

৭) সাইবার নিরাপত্তা (Cybersecurity)

Cybersecurity
চিত্রঃ সাইবার নিরাপত্তা (Cybersecurity)

সাইবার নিরাপত্তা বলতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস, চুরি এবং ক্ষতি থেকে কম্পিউটার সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কগুলির সুরক্ষা বোঝায়। আজকের ডিজিটাল যুগে, প্রযুক্তির উপর আমাদের নির্ভরতা বাড়ার সাথে সাথে সাইবার নিরাপত্তা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমরা অনলাইন ব্যাংকিং এবং কেনাকাটা থেকে শুরু করে যোগাযোগ এবং বিনোদন সব কিছুর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করি এবং অনলাইনে আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য সঞ্চয় করার সাথে সাথে সাইবার আক্রমণের সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে পড়ি।
সাইবার নিরাপত্তার মূল উপাদানগুলির মধ্যে একটি হল ফায়ারওয়ালের ব্যবহার, যা ইন্টারনেট এবং আপনার কম্পিউটারের মধ্যে একটি বাধা হিসাবে কাজ করে, সম্ভাব্য হুমকিগুলিকে ফিল্টার করে। অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার সাইবার নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যারের মতো ক্ষতিকারক সফ্টওয়্যারগুলিকে স্ক্যান করে অপসারণ করে।
Cybersecurity সেবা প্রদান করার জন্য Cyber Security expert দের একটি সংগঠন বা দল থাকেন যারা বিভিন্ন ধরণের programs, software বা hardware ইত্যাদি ব্যবহার করে আমাদের computer, device, network ইত্যাদির মধ্যে কিছু layers of protection যোগ করেন।

৮) অপার্থিব ও বর্ধিত বাস্তবতা (Virtual Reality (VR) and Augmented Reality (AR))

Virtual Reality VR and Augmented Reality AR
চিত্রঃ অপার্থিব ও বর্ধিত বাস্তবতা (Virtual Reality (VR) and Augmented Reality (AR))

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) হল immersive প্রযুক্তি যা ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল জগতের অভিজ্ঞতা নিতে বা ডিজিটাল সামগ্রীর সাথে তাদের বাস্তব-জগতের অভিজ্ঞতা বাড়াতে সক্ষম করে তোলে।
VR এবং AR উভয়েরই গেমিং এবং বিনোদন থেকে শুরু করে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পর্যন্ত বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। গেমিং শিল্পে, VR ব্যবহার করা হচ্ছে সম্পূর্ণ নিমগ্ন গেমিং অভিজ্ঞতা তৈরি করতে, যখন AR ব্যবহার করা হচ্ছে মোবাইল গেমিংকে উন্নত করতে এবং ইন্টারেক্টিভ বিনোদনের নতুন ফর্ম তৈরি করতে।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে, ভিআর এবং এআর ব্যবহার করা হচ্ছে সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করতে যেখানে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অনুশীলন করতে পারে এবং বাস্তব-বিশ্বের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভিআর সিমুলেশনগুলি পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং AR চিকিৎসা প্রশিক্ষণ উন্নত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, ভিআর এবং এআর বিস্তৃত অ্যাপ্লিকেশনের সাথে দ্রুত বিকশিত প্রযুক্তি। যেহেতু এই প্রযুক্তিগুলি অগ্রসর হচ্ছে, আমরা আগামী বছরগুলিতে আরো উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল ব্যবহার দেখতে পারবো বলে আশা করতে পারি।

উপসংহার

প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রতিটি দিককে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, এবং আমরা যেভাবে কাজ করি, যোগাযোগ করি, নতুন কিছু শিখি, এর প্রতিটি ধাপেই প্রযুক্তি আমাদের নতুনত্বের ছোয়া দিচ্ছে । তবে যেকোন নতুন প্রযুক্তিতেই কিছু ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সচেতন থেকে আমাদের প্রযুক্তিগুলোর সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে ।

শেষকথা, আমাদের কোম্পানী i2Technologies Limited– কাজ করছে অগ্রসরমান প্রযুক্তি নিয়ে। আপনার জীবন মানকে উন্নত করতে, প্রযুক্তির সাথে আপনার জীবনপ্রবাহকে সমন্নত করতে এবং আপনার ব্যবসার বৈশ্বিক প্রসার ঘটাতে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডোমেন-হোস্টিং সেবা, ডেডিকেটেড সার্ভার সেবা সহ যেকোন পরিসেবার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।